
বিয়ে মানে শুধু দুজন মানুষের একসাথে জীবন শুরু করা নয়, বরং দুই পরিবারের মেলবন্ধনও। আর এই মেলবন্ধনের প্রথম ধাপ হলো সুন্দর একটি বায়োডাটা। তাই চলুন দেখে নেই কীভাবে তৈরি করবেন একটি দুর্দান্ত বিয়ের বায়োডাটা, যা দেখে হবু শাশুড়ি মুগ্ধ হয়ে যাবেন!
১. নিজের ছবি: সেলফি নয়, প্রফেশনাল ছবি দিন!
সেলফি নয়, প্রফেশনাল ফটোশুটের ছবি দিন। হাসিমুখের ছবি দিন, যেন ছবি দেখেই মনে হয়, “এই মানুষটি তো দারুণ মজার!” আর যদি ব্যাকগ্রাউন্ডে আপনার প্রিয় পোষা বিড়াল থাকে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
২. নিজের সম্পর্কে
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বোরিং না হয়ে একটু মজার ছলে বলুন। যেমন, “আমি রাহাত, পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু মনে প্রাণে খাবারের ভক্ত!” অথবা “আমি সুমি, ডাক্তার হলেও মনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা রসিকতা ও কবিতা লিখতে পছন্দ করি।”
৩. পড়াশোনা ও পেশা: কিছুটা গম্ভীর, কিছুটা হাস্যকর
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক, কিন্তু ছাত্রজীবনে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছি ক্যাফেটেরিয়ায় আড্ডা দিয়ে!” বা “আইনজীবী হিসেবে কাজ করি, কিন্তু বন্ধুরা আমাকে ‘ফ্যাশন গুরু’ বলে ডাকে।”
৪. পরিবার: সংক্ষিপ্ত কিন্তু মজাদার
“আমার পরিবারে আছেন বাবা, মা এবং এক ছোট বোন, যার হাতের রান্না খেয়ে আমরা সবাই মুগ্ধ।” অথবা “বাবা একজন ব্যাংকার, মা হোমমেকার এবং আমি, আমাদের পোষা কুকুর ‘রকি’র প্রিয় খেলনার মিস্ত্রি।”
৫. শখ: এটি আপনার মজার অংশ হতে পারে!
“ফ্রি সময়ে আমি ছবি আঁকি, কিন্তু আমার আঁকা ছবি দেখে কেউ ভ্যান গঘের চেয়ে হুমায়ূন আহমেদকে বেশি স্মরণ করে!” অথবা “ভ্রমণ করতে ভালোবাসি, বিশেষত যখন নতুন জায়গার খাবার টেস্ট করতে পারি।”
৬. পছন্দের জীবনসঙ্গী: খুলে বলুন, কিন্তু সুন্দরভাবে
“একজন সঙ্গী খুঁজছি যিনি আমার সাথে নেটফ্লিক্সে মুভি দেখা থেকে শুরু করে হঠাৎ মাঝরাতে আইসক্রিম খেতে যেতে রাজি হবেন!” অথবা “যিনি আমার বাবা-মাকে নিজের বাবা-মা মনে করে ভালোবাসবেন, আর আমার সাথে প্রতিদিন নতুন নতুন রান্নার রেসিপি ট্রাই করবেন।”
এখন আপনার হাতে সুন্দর ও মজাদার একটি বায়োডাটা! শুধু নিজের ব্যক্তিত্বটি একটু মজার ছলে তুলে ধরুন, দেখবেন আপনার বায়োডাটা দেখেই পাত্র/পাত্রী পক্ষ আপনাকে ফোন দিচ্ছে! শুভকামনা রইলো আপনার জন্য!
এত কিছু মাথায় না নিয়ে সহজেই বায়োডাটা করুন কবুল এপে
কবুল এপে সহজেই সুন্দর বায়োডাটা তৈরি করা যায়